JU Admission Question Bank Pdf Download
- JU (সকল ইউনিটের প্রশ্নব্যাংক) Pdf — https://drive.google.com/file/d/1wn1ZVEh0ja62wnK6sdbnwze0M1mbtbZ1/view?usp=sharing
হিজলার_ক্ষপ্পরে
আফরান আহমেদ
সকাল সকাল স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি মেয়ে পটানোর জন্য। কিন্তু এমন পুরা কপাল আজকে একটা মেয়েও কপালে জুটলো না। জীবনের এতো বছর কেটে গেলো তবুও প্রেম হলো না। সিঙ্গেল লাইফ আর কতদিন ভালো লাগে। না আজকে কাউকে পটাতেই হবে। আজকে আমার জীবন থেকে এই সিঙ্গেল নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি নিতেই হবে। জীবনের পরিপূর্ণতা আজ পেতেই হবে। যার জীবনে গার্লফ্রেন্ড নাই তার কোনো জীবন হলো নাকি!!? এতো সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে এই পৃথিবীতে কিন্তু আমি তো কাউকে পাই না যার সাথে প্রেম করবো! আল্লাহ নাকি সব ছেলের জন্য একটা করে মেয়ে সঙ্গী সৃষ্টি করেছে, কিন্তু আমার টা পাই না কেন!? আমার টা হয়তো এখনো সৃষ্টি হয় নাই।
এতো কিছু ভাবতে ভাবতে হঠাৎই কাধে হাতেই স্পর্শ পেতেই ঘুরে তাকালাম। একি!!!? হিজলা!!? তাও আবার আমার কাধে হাত!!!? ভয়ে তো হাটু কাঁপা শুরু করছে। সত্যি কথা বলতে হিজলা দেখে আমি ছোট বেলা থেকেই ভয় পাই। আমি যখন ক্লাস ৭ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করি তখন আমার বড় আপুর একটা বাবু হয়ছিলো৷ তখন কিছু হিজলা আমাদের বাসায় এসে অস্বাভাবিক সব অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়েছিলো সেটা দেখে আমি এক সপ্তাহ বাসার বাইরে বের হয়ছিলাম না। সেই থেকে হিজলা দেখলে আমি প্রচন্ড ভাবে ভয় পায়। আজ আবার হিজলা আমার সামনে,, ভয়ে পুরো শরির কাঁপাকাঁপি শুরু করছে।
— কি কি,, কি আপু কিছু বলবেন!? ( একটু ভয়ে কথাটি বললাম)
— ক্যারে তুই আমাকে আপু কেনো বলছিস আমি কি তোর আপু হয়!!?
— না মানে,সম্পর্কে আপনি আমার আপু হোন না তবে জাতিগত ভাবে তো আপনি আমার আপুই তাই না।
— বাহ তুই তো খুব সুন্দর করে কথা বলিস!! তোকে না আমার খুব পছন্দ হয়ছে। তোকে আমি বিয়ে করবো!!
— ও মা!! ( চিৎকার দিয়ে কথাটা মুখ থেকে বের হয়ে গেলো!)
— কিরে ভয় পেলি নাকি!!? এতো সুন্দর করে কথা বলার ছেলে কখনো ভয় পাই!!?
— ভাই আমারে মাফ কইরা দেন। এমনিতেও আপনাদের দেখলে আমার প্রচন্ড আঁকারে ভয় লাগে এরপর আবার বলতেছেন আমারে নাকি বিয়ে করবেন। ওরে আল্লারে, ইডা কেবা করি সম্ভব!!?
— যেমন করেই হোক, তোকে আমি বিয়ে করবোই। তোকে আমি ছাড়ছি না।
আর তুই আমাকে ভাই বলছিস কেনোরে?? আমি কি তোর ভাই হই!!?
— আপনি আমার ভাই হোন, বোন হোন, যা ইচ্ছা তাই হোন, তবুও দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন। এই ভার্জিন ছেলেটিকে সর্বনাশ করবেন না। আমি এখনো কোনো মেয়ের স্পর্শ পায় নাই, তার আগেই যদি হিজলা আমাকে, ছিঃ!!!
— এই তুই ছিঃ ছিঃ করছিস কেনোরে!!? আমি কি দেখতে খারাপ নাকি!?
— না না আপনি দেখতে একদম পুর্নিমার লাহান। কিন্তু দয়া করে আমাকে যেতে দিন। প্লিজ আমাকে বিয়ে করে আমার সর্বনাশ করবেন না। এই দুধের শিশুটিকে ছেড়ে দিন। ( কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বললাম)
— তুই যতো কথায় বলিস, তোকে আমি ছাড়ছি না। তোকে আমি বিয়ে করবোই! আর তোকেই করবো আমার সন্তানের বাবা!!
— কিইইইইইইইই!!!? হিজলাদের আবার সন্তান হয় কেম্নে!!? ওরেএএএ আল্লাহ তাও আবার আমি বাবা হবো ওই সন্তানের!! ওরে কেউ কি নেই যে আমাকে এই হিজলা নামক আপুটার হাতে থেকে বাঁচাতে পারে!!? আমাকে এই সর্বনাশ থেকে রক্ষা করতে পারে!!?
পারে, পারে,পারে, একজনই পারে তোকে এই হিজলা নামক আপুটার সাথে থেকে রক্ষা করতে।
হাওয়ায় হাওয়ায় কথাটি কানে চলে আসলো!! কিন্তু কে বললো কথাটি!!? কাউকে তো দেখতে পারছি না। পাঁচ-সাত ভাবা বাদ দিয়ে বললাম!!
— কে কে! কে পারে আমাকে এই সর্বনাশ থেকে রক্ষা করতে? কে পারে আমার সতীত্বকে রক্ষা করতে!?
— যে এই গল্পটি লিখছে সেই পারে তোকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে!!? ( অদৃশ্য লোক)
— গল্প লিখছে মানে!!? কে এই গল্প লিখছে!!?
— স্বদেশ নামের একটি ব্যক্তি এই গল্পটি লিখছে, সেই পারে তোকে বাঁচাতে। ( অদৃশ্য লোক)
— আমি পাবো কোথায় স্বদেশকে!!?
— মন থেকে ডাকদে দেখবি স্বদেশ তোর কথার উওর নিবে!! ( অদৃশ্য লোক)
— স্বদেশ আমাকে বাঁচান ভাইয়া। এই হিজলা নামক আপুটার হাতে থেকে আমাকে বাঁচান!!
— কি ভাই কি হয়ছে সমস্যাটা কি!? একটু শান্তিতে গল্পও লিখতে দিবেন না!!?(স্বদেশ)
— প্লিজ ভাই আমাকে বাঁচান, এই হিজলা আপুটি আমাকে বিয়ে করবে। ভাইয়া আমার সর্বনাশ করে দিবে ভাইয়া, আমাকে বাঁচান।
— তা করে ফেলো বিয়ে খুশির ঠ্যালাই! একটা মেয়েরও যা আছে একটা হিজলারো তো তাই আছে, সমস্যা কোথায়!!?( স্বদেশ)
— কি ভাই কি সব বলছেন!? একটা মেয়ের যা আছে হিজলারো তাই থাকে কেম্নে!?
— না মানে ইয়ে মানে, এই তো হাত আছে, পা আছে, চোখ আছে, মাথা আছে কি নেই! সবই তো আছে!! ( স্বদেশ)
— ভাই মজা নেওয়া বাদ দেন। দয়া করে ভাই এই বিপদ থেকে আমাকে রক্ষা করেন!!
— আচ্ছা দাঁড়াও আমি দেখছি। ( স্বদশ)
স্বদেশ ভাইার সাথে কথা শেষ করে আমি দাঁড়িয়ে আছি। তখন আবার হিজলা আপুটি আমার দিকে তাকিয়ে!!!!
— এবার তোর কি হবে!!? এবার তো তোকে আমার বিয়ে করতে হবে! ওই ওরে ধরে কাজী অফিসে নিয়াই
— নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া, ( চিৎকার দিয়ে কথাটি বলে উঠলাম! এ কি!!? কোথায় আমি!? আমি তো আমার নিজের বিছানায়। এর মানে এতোক্ষন যা ছিলো সব কিছু স্বপ্ন? আমি এতোক্ষন স্বপ্ন দেখছিলাম!
ওও বাঁচলাম, আর কিছুক্ষন থাকলে তো ভয়ে বিছানায় হিশু করে দিতাম।