ইরানের উপর হামলার বিষয়ে সৌদির সমর্থন চেয়েছিল ইসরাইল !

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে গত রবিবার নেম শহরে সাক্ষাতকালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজমিন নেতানিয়াহু ইরানের উপর হামলার বিষয়ে সৌদির সম্মতি চেয়েছিল। কিন্তু বিন সালমান এই বিষয়ে ইসরাইলের সাথে একমত পোষণ করেননি। নেম শহরে গোপনে সাক্ষাত করার অন্যতম কারণ ছিল ইরানে হামলার বিষয়ে সৌদির সমর্থন আদায় করা। এটা নিশ্চিত করেছে সৌদি সূত্র।
বিন সালমানের এই বিষয়ে রাজী না হওয়ার কারন হিসেবে সূত্রটি দুটি বিষয় উল্লেখ করেছেন।
প্রথমত, তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, এতে করে সৌদি তেলক্ষেত্রগুলো হুতিদের লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখোমুখি হবে। এবং ইরানের সাথে চলমান প্রক্সি যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করবে, যা তাদের দেশের মূল ভূ-খন্ডের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আগত প্রশাসনের সাথে সৌদির সম্পর্ক কেমন হবে এটা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। দীর্ঘকাল ধরে অবরোধ ও পাল্টা অবরোধের ঘটনা ঘটলেও সৌদি প্রশাসন ধারণা করেন যে,উপসাগরীয় সঙ্কটের বিষয়ে বাইডেনের প্রথম প্রতিক্রিয়া হল তেহরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করার আগে ডেস্কেলেট করা হবে। বাইডেন প্রশাসনের ইরান ঘেষা নীতির কারণে সৌদি আরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোষানলে পড়তে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সৌদি সূত্র এটা এমন সময় নিশ্চিত করেছে যখন ইরানের প্রধান পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এবং এ বিষয়ে সন্দেহের আঙ্গুল উঠছে মোসাদের উপর। পাশাপাশি আরেকটা বিষয় প্রমাণিত হলো যে, মোহাম্মদ বিন সালমান এবং নেতানিয়াহু নেম শহরে আসলেই গোপনে সাক্ষাৎ করেছিলেন। যদিও এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর সৌদি কর্তৃপক্ষ এই ব্যপারটা ডিনাই করেছিল।
#AMT