Guidelines

অনলাইনে সফল হওয়ার উপায় ও কোনটা Asset আর কোনটা Liability?

টেক মোটিভ: যে কাজে আপনি ভাল সেটা করুন,  সেরাটা দেওয়া আপনার পক্ষেও সম্ভব, শুধু দরকার ইচ্ছে শক্তি দিয়ে লেগে থাকা.

  • আপনি ডিজাইনে ভালো হলে, ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রি করেন!
  • আপনি ম্যানেজমেন্টে ভালো হলে, মানুষের ভার্চুয়াল এক্সিস্টেন্স ম্যানেজ করে আয় করেন!
  • আপনি লেখালেখি পছন্দ করলে, ছোট ইবুক লিখে সেটা বিক্রি করে আয় করেন!
  • আপনি ভিডিওগ্রাফি জানলে সেটাকে ইউনিক প্রোডাক্টে কনভার্ট করে আয় করেন!
  • আপনি ফটোগ্রাফি জানলে সেটাকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে কনভার্ট করে আয় করেন!
  • বিশদিনের মধ্যেই কিন্তু একটা ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করে সেটাকে বিক্রি করা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব!

অনলাইনে সফল হওয়ার উপায়

অনলাইনে সফল হওয়ার জন্য কিছু কৌশলের মধ্যে রয়েছে – একটি শক্তিশালী ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করা, মূল্যবান এবং আকর্ষক বিষয়বস্তু তৈরি করা, অন্যান্য শিল্প পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করা এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা।

যে সম্পদগুলি অনলাইন সাফল্যে সাহায্য করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে একটি পেশাদার ওয়েবসাইট, একটি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা সামাজিক মিডিয়া উপস্থিতি, কাজের একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও এবং পরিচিতির একটি বড় নেটওয়ার্ক।

অনলাইন সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন দায়গুলির মধ্যে একটি দুর্বল ব্যক্তিগত খ্যাতি, পুরানো বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু, সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যস্ততার অভাব এবং দুর্বল অনলাইন উপস্থিতি অন্তর্ভুক্ত।

 অনলাইনে সফল হতে ৭টি  টিপসঃ

  1. একটি শক্তিশালী ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করুন: আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড হল আপনার অনলাইনে থাকা ইমেজ এবং খ্যাতি। নিশ্চিত করুন যে এটি আপনার মান, দক্ষতা এবং দক্ষতা প্রতিফলিত করে।
  2. মূল্যবান এবং আকর্ষক বিষয়বস্তু তৈরি করুন: মূল্যবান সামগ্রী তৈরি করে আপনার জ্ঞান এবং দক্ষতা শেয়ার করুন যা আপনার দর্শকদের শিক্ষিত এবং বিনোদন দেবে।
  3. অন্যান্য শিল্প পেশাদারদের সাথে নেটওয়ার্ক: আপনার শিল্পের অন্যান্য পেশাদারদের সাথে সংযোগ করুন, ধারণাগুলি ভাগ করুন এবং প্রকল্পগুলিতে সহযোগিতা করুন৷
  4. সোশ্যাল মিডিয়া এবং এসইওকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করুন: আপনার শ্রোতাদের সাথে যুক্ত হতে, আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক চালাতে এবং আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন। দৃশ্যমানতা বাড়াতে এবং বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আপনার ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করুন।
  5. সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকুন: আপনার ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইমেল সহ আপনার সমস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুড়ে আপনার বিষয়বস্তু এবং মেসেজিং সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখুন।
  6. বিশ্লেষণ থেকে শিখুন: আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক এবং ব্যস্ততা ট্র্যাক করতে গুগল অ্যানালিটিক্সের মতো সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করুন৷ আপনার অনলাইন কৌশল উন্নত করতে এই ডেটা ব্যবহার করুন।
  7. ক্রমাগত শিখুন এবং উন্নত করুন: ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাম্প্রতিক প্রবণতা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে আপ থাকুন। ক্রমাগত উন্নতি করুন এবং আপনার অনলাইন কৌশল মানিয়ে নিন।
আপনি যদি খুব বড়লোক হতে চান, পার্সোনাল ফাইন্যান্সের একটু গভীরে যেতে চান, বা ইনভেস্টমেন্টের দুনিয়ায় একটু ঢু মারতে চান তাহলে একটা খুব ব্যাসিক বাট মারাত্মক ইম্পর্ট্যান্ট কনসেপ্ট ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন। কন্সেপ্টটা হলো কোনটা Asset আর কোনটা Liability সেটা বোঝা।
উপরে উপরে দিয়ে বোঝা খুবই সহজ। কিন্তু ভেতরে একটু প্যাচ আছে। আমি প্যাচটা একটু খোলার চেষ্টা করবো এই পোস্টে।
ফার্স্টেই একটু জাইনা নেই Asset কি আর Liability কি। আমি কোনো বইয়ের সংজ্ঞা দিবোনা। সাধারণ ডাল-ভাত লেভেলের একটা সংজ্ঞা দিবো।

Asset ও Liability এর পার্থক্য ব্যাখ্যা

  • Asset: ঐসব জিনিস যেগুলা আপনার পকেটে টাকা দিবে।
  • Liability: ঐসব জিনিস যেগুলা আপনার পকেট থেকে টাকা নিয়ে যাবে।
আমি প্রায় সিউর অনেকেই এই ব্যাপারটা জানেন। এখন আমি দুইটা উদাহারণ দেইঃ
  • ১। ‘ক’ তার জমানো টাকা দিয়ে একটা ফ্ল্যাট কিনসে।
  • ২। ‘খ’ তার জমানো টাকা দিয়ে একটা গাড়ি কিনসে।
এখন যদি আমি জিজ্ঞাসা করি কোনটা Asset আর কোনটা
Liability তাইলে ম্যক্সিমাম মানুষই এক বাক্যে বলবেন ফ্ল্যাট কেনাটা Asset আর গাড়ি কেনাটা Liability। আমি নিজেও তাই ভাবতাম।
আসলে ব্যাপারটা একদম যে তা সেটা আমরা এখনই বলতে পারবো না। কোনটা Asset আর কোনটা Liability সেটা বোঝার জন্য আমাদের আরো কিছু ইনফর্মেশন জানা লাগবে।
ধরেন ক ভাই ফ্ল্যাট কিনসিলো কারণ সে চাচ্ছিলো ফ্ল্যাট কিনে সেটা ভাড়া দিবে। মাসের শেষে একটা সুন্দর ক্যাশ ফ্লো ক ভাই এর পকেটে ঢুকবে। কিন্তু ফ্ল্যাট কেনার পর দেখা গেলো, সেই ফ্ল্যাটটা কোনো কারণে কেউ ভাড়া নিচ্ছে না। মাসের পর মাস ফ্ল্যাটটা খালি পরে আছে। ফ্ল্যাট খালি পড়ে থাকলে প্রতি মাসে কিন্তু ক ভাইকে এই ফ্ল্যাটের জন্য খরচ করা লাগতেসে যেমন বিল্ডিং এর সার্ভিস চার্জ দেওয়া, আদার্স অনেক চার্জ দেওয়া ইত্যাদি।
এখন একটু ভেবে দেখেন, ফ্ল্যাটটা কেনার পর সেই ফ্ল্যাট কি ক এর পকেটে টাকা দিচ্ছে নাকি পকেট থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে? ফ্ল্যাটটা কিন্তু খালি থাকার কারণে প্রতি মাসে ক ভাই এর পকেট থেকে উলটা টাকা নিয়ে যাচ্ছে। তাইলে কি এটাকে আমরা Asset বলতে পারি? না, যাই টাকা পকেট থেকে নিয়ে নে সেটাই Liability. তাই এখানে ফ্ল্যাটটা হলো একটা Liability.
এবার আসি খ এর ব্যাপারে। ট্রেডিশনাল সেন্স অনুযায়ী বোঝা যায় গাড়ি হলো একটা Liability কারণ গাড়ির মেইনটেনেন্স এর কারণে প্রতি মাসে আপনাকে খরচ করা লাগতেসে। কিন্তু ধরেন খ গাড়িটা পার্সোনাল কাজে না দিয়ে সেটা Uber এ দিয়ে দিলো। এখন Uber এ দেওয়ার কারণে প্রতি মাসে খ এর পকেটে টাকা আসতেসে, যাচ্ছে না।
যেহেতু গাড়িটাকে Uber এ দেওয়ার কারণে খ এর পকেটে উলটা টাকা আসতেসে, তাইলে কি এটা Liability? নাহ, এটা এখন একটা Asset।
আমাদের Asset আর Liability র মধ্যে এই সূক্ষ্ণ পার্থক্যটা ভালোভাবে বোঝা লাগবে। তাইলে আপনি যখন একটা ইনভেস্টমেন্ট করতে যাবেন, আগেই ভালোভাবে বুঝতে পারবেন সেই ইনভেস্টমেন্টটা কি আসলেই একটা Asset হবে? নাকি Asset এর মুখোশ পরে Liability হয়ে আপনার পকেটে হামলা দিবে?
দুধ-কলা দিয়ে আপনি কোনো Liability পুষতেসেন না তো?
#টাকাবার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker